নামাজের সঠিক নিয়ম

 নামাজের সঠিক নিয়ম জানুন !

 ৫ ওয়াক্ত নামাজ এর সময়সূচি  



আজ শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ২০ আছার ১৪৩২, ৮ মহরম ১৪৪৭, ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায়, জুমার নামাজের সময় দুপুর ১২:০৬ মিনিটে, আসরের নামাজের সময় বিকেল ৪:৪২ মিনিটে, মাগরিবের সময় সন্ধ্যা ৬:৫৪ মিনিটে এবং এশার সময় রাত ৮:২০ মিনিটে শুরু হবে।

আমরা ৫ ওয়াক্ত নামায আদাই করি প্রতিদ, ওয়াক্ত গুকর নামে হলোঃ ফজর, যোহর, আসর , মাগরিব,  ইশা। 

 নামাজ এর সময়সূচি

নামাজের ওয়াক্ত           নামাযের সময়
   ফজর             ৩:৫৪ AM
  সূর্যোদয়              ৫:২২ AM
  যোহর             ১২:১০ PM
  আসর                ৪:৫১ PM
 মাগরিব             ৬:৫৯ PM
   ইশা              ৮:২৬ PM

করনীয়:

নামাজের সঠিক নিয়মঃ- 

নামাজ ইসলামের একটি মৌলিক স্তম্ভ এবং মুসলমানদের জন্য ফরজ ইবাদত। এটি এমন একটি উপাসনা যার মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে। সঠিক নিয়মে নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একটি ভুলপদ্ধতিতে আদায়কৃত নামাজ কবুল না-ও হতে পারে। সুতরাং, নামাজ আদায়ের সঠিক নিয়ম জানা এবং তা যথাযথভাবে পালন করা ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।নামাজের সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হলে প্রথমেই অজু করা আবশ্যক। অজু ছাড়া নামাজ গ্রহণযোগ্য নয়। অজুতে মুখ, হাত, মাথা ও পা ধোয়া বাধ্যতামূলক। এরপর নামাজের স্থান পবিত্র হতে হবে এবং শরীর ও কাপড়ও অপবিত্র বস্তু থেকে পরিষ্কার থাকতে হবে। তারপর কিবলার দিকে মুখ করে দাঁড়াতে হবে, যা হলো মক্কায় অবস্থিত পবিত্র কাবা ঘর।নামাজ শুরু করার আগে নিয়ত (ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য) করতে হয়। নিয়ত অন্তরের কাজ হলেও মুখে উচ্চারণ করা সুন্নত। এরপর ‘তাকবিরে তাহরিমা’ বলে দুই হাত কানের পাশে তুলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে নামাজ শুরু করা হয়। এরপর সুরা ফাতিহা এবং কুরআনের অন্য একটি সুরা তিলাওয়াত করা হয়। এরপর রুকুতে যাওয়া হয়, যেখানে কোমর ভেঙে দুই হাত হাঁটুতে রেখে বলা হয়—“সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম”। রুকু থেকে উঠে বলা হয“সামীআল্লাহু লিমান হামিদাহ, রাব্বানা লাকাল হামদ।”রুকু থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে আবার সিজদায় যাওয়া হয়। সিজদা হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে কপাল, নাক, দুই হাত, দুই হাঁটু এবং পায়ের আঙুল মাটিতে স্পর্শ করে। সিজদায় বলা হয় “সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা।” এরপর বসে আবার দ্বিতীয় সিজদা করা হয়। প্রতিটি রাকাতের শেষে এই ধাপে নামাজ শেষ হয় না, বরং নির্ধারিত রাকাত অনুযায়ী এসব পুনরাবৃত্তি করতে হয়।দুই রাকাত শেষে বসে ‘আত্তাহিয়্যাত’, ‘দরুদ’ এবং ‘দুয়া’ পড়া হয়। চার রাকাত নামাজ হলে দ্বিতীয় রাকাতে বসে আত্তাহিয়্যাত পড়া হয় এবং চতুর্থ রাকাতে সবকিছু মিলিয়ে দোয়া ও সালাম দিয়ে নামাজ শেষ করা হয়। সালাম দেওয়া হয় ডানে এবং বামে মুখ ফিরিয়ে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।”নামাজের নিয়মে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে যেমন খুশু-খুজু অর্থাৎ একাগ্রতা ও বিনয় বজায় রাখা, শরীরের অঙ্গভঙ্গি যথাযথভাবে সম্পাদন করা, নামাজের প্রতিটি যিকির যথাযথভাবে পড়া ইত্যাদি। যেকোনো অবহেলা নামাজের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত করতে পারে।এছাড়াও, প্রত্যেক নামাজের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। যেমন ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব এবং এশা—প্রতিটি নামাজ সঠিক সময়ে পড়তে হয়। একেক নামাজের সময় একেক রকম হয় এবং সূর্য ওঠা, ঢল, অস্ত যাওয়া ইত্যাদির ভিত্তিতে সময় নির্ধারণ হয়।সবশেষে বলা যায়, নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয় বরং আত্মার প্রশান্তি, জীবনের শৃঙ্খলা এবং আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার এক মহান উপায়। তাই সঠিক নিয়মে ও একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায় করা প্রতিটি মুসলমানের উচিত, যেন ইহকাল ও পরকালে সফলতা লাভ করা যায়। 

ফজর এর নামায      

আমরা সাধারণত ফজর এর আযান এর কিছুক্ষণ আগে ঘুম থেকে উঠি উঠার পর দাঁত ব্রাস করি একটু ফ্রেশ হয় কখনো  কখনো পোশাক পরিবর্তন করি । তারপর আযান এর জন্য অপেক্ষা করি , আযান দেওয়ার পর নামায এর জন্য প্রস্তুত হয়, ওযু করি , এবং নামজ এর জন্য যদি পাশে মসজিদ থাকে তাহলে মসজিদ এ জাই আর নাহয় বাসাই সঠিক ভাবে নামায আদাই করি 

যোহর এর নামায

যোহর এর নামাযে, আমরা সাধারণত দুপুর বেলাই গোসল করি , পরিষ্কার পোশাক পরিধান করি এবং আযান এর পর পর মসজিদ এ রওনা হোয় । যোহর এর জামাজ সাধারন্ত  (১২:১০ PM) এ শুরু হয় আমরা কিছুক্ষণ আগেই মসজিদ এর জন্য রওনা হয় এবং জামাত এর সাথে সাথেই নামায আদাই করি ।    

আসর এর নামায 

আসরের নামায এর ওয়াক্ত শুরু হয় ৪:৫১ PM তে, বিকেল বেলাই, আমরা ভালভাবে হাতমুখ ধুই ওযু করি এবং মসজিদ এ যাই এবং জামাত এর সাথে নামায আদাই করি ।  

মাগরিব এর নামায 

মাগরিব এর নামায এর সময় ওয়াক্ত শুরু হয় ৬:৫৯ PM এ আমরা ভালভাবে হাতমুখ ধুই ওযু করি এবং মসজিদ এ যাই এবং জামাত এর সাথে নামায আদাই করি ।  

ইশা এর নামায

ওয়াক্ত শুরু হয় ৮:২৬ PM এ , ওয়াক্ত শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই আমরা ভালভাবে হাতমুখ ধুই ,ওযু করি এবং মসজিদ এ যাই , জামাত এর সাথে নামায আদাই করি ।  

৫ ওয়াক্ত নামাজের রাকাআত ও তার সূচি :

ওয়াক্ত এর নাম রাকাআতের বিবরণ মোট রাকাআত
ফজর ২ রাকাআত সুন্নতে মুআক্কাদা + ২ রাকাআত ফরজ ৪ রাকাআত
যোহর ৪ রাকাআত সুন্নতে মুআক্কাদা + ৪ রাকাআত ফরজ + ২ রাকাআত সুন্নত (মুঅক্কাদা) + ২ রাকাআত নফল ১২ রাকাআত
আসর ৪ রাকাআত সুন্নত (গায়রে মুআক্কাদা) + ৪ রাকাআত ফরজ ৮ রাকাআত
মাগরিব ৩ রাকাআত ফরজ + ২ রাকাআত সুন্নত (মুঅক্কাদা) + ২ রাকাআত নফল ৭ রাকাআত
এশা ৪ রাকাআত সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদা + ৪ রাকাআত ফরজ + ২ রাকাআত সুন্নত (মুঅক্কাদা) + ২ রাকাআত নফল + ৩ রাকাআত বিতর

ফরজ রাকাআতের তালিকাঃ 

নামাজের নাম রাকাআত
ফজর ২ রাকাআত ফরজ
যোহর ৪ রাকাআত ফরজ
আসর ৪ রাকাআত ফরজ
মাগরিব ৩ রাকাআত ফরজ
এশা ৪ রাকাআত ফরজ

কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথঃ   

  • সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ: নবী (সাঃ) নিয়মিত এটি পড়তেন এবং কখনও মিস করতেন না। যদিও এটি পড়া ফরজ নয়, তবুও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদাহ: এটি না পড়লে কোন পাপ নেই, তবে এটি পড়লে সওয়াব রয়েছে।
  • নফল ও বিতর: অতিরিক্ত সওয়াবের জন্য, এবং এশার পরে বিতর ফরজ
দৈনিক নামাজে মোট ১৭ রাকাত ফরজ নামাজ পড়া হয়। তবে, পূর্ণ ৫টি দৈনিক নামাজে প্রায়শই মোট ৪৮ রাকাত নামাজ পড়া হয়, যার মধ্যে ফরজ, সুন্নাত এবং নফল নামাজ অন্তর্ভুক্ত থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমার বাংলা Content ✅ এর  নীতিমালা https://www.theboldcomma.com/p/blog-page_9.html মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪