বর্তমান বাজারে আজকের সোনার দাম কত ?
সোনার বর্তমান বাজার মূল্য !
| ক্যারেট | প্রতি ভরি দাম | প্রতি গ্রাম আনুমানিক (ভরি = 11.664g) |
|---|---|---|
| ২২ ক্যারেট | ১,৭২,১২৬ টাকা | ≈ ১৪,৭৬০ টাকা |
| ২১ ক্যারেট | ১,৬৪,২৯৯ টাকা | ≈ ১৪,০৭০ টাকা |
| ১৮ ক্যারেট | ১,৪০,৮৩১ টাকা | ≈ ১২,০৭৭ টাকা |
| সনাতন পদ্ধতি | ১,১৬,৪৮৮ টাকা | ≈ ১০,৯৯০ টাকা |
চলুন দেখে নেওয়া যাক ২২ ক্যারেট খাঁটি সোনার দাম!
নিম্নে বাংলাদেশে বিগত ১০ বছরের ২২ ক্যারেট সোনার দাম (প্রতি ভরি) ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো, মূলত বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) ও ডিবিসি নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী।
| বছর | দাম |
|---|---|
| ২০১০ | ৩৮,৩৭৫ |
| ২০১৫ | ৪৯,৪৫৫ |
| ২০২০ | ৬৯,৮৬৭ |
| ২০২১ | ৮৮,৪১৩ |
| ২০২২ | ৫৬,০০০–৬০,০০০ |
| ২০২৩ | ৬০–৭০ হাজার |
| ২০২৪ | ১০০৩৫ - ১১৬,৭০০৳ |
| ২০২৫ | ১২০–১৩০০০০ |
আমদের দেশ এ সোনার বাজারে সাধারণত "বিড (বিক্রয়)" এবং "জিজ্ঞাসা (কিনুন)" মূল্য
থাকে। এখানে দেখানো দামগুলি সর্বশেষ দাম, আপনার স্থানীয় জুয়েলারি বা বাজারের
দামের সাথে সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে।
আসল সোনা এবং খাঁটি সোনা চেনার সটীক নিয়ম !
নিচে আসল সোনা চেনার কিছু নিয়ম , চলেন আমরা দেখিঃ-
- সোনার গায়ে “২২K” বা “916” লেখা থাকে।
- সোনা চুম্বকে ধরে না। যদি চুম্বকে টানে, বুঝে নিও এটা ভেজাল।
- একটা গ্লাস পানিতে সোনা ফেলে দেখো—আসল সোনা নিচে ডুবে যাবে, ভেসে থাকবে না।
- আসল সোনা ঘষলেও রঙ বদলায় না।
- আসল সোনায় চামড়ায় সবুজ দাগ পড়ে না।
- সদা পরিচিত বা নামী দোকান থেকে হলমার্কসহ সোনা কেনা।
১। সোনার গায়ে “২২K” বা “916” লেখা থাকে।
সোনায় "22K" বা "916" দিয়ে চিহ্নিত করা হয়, যা খাঁটি সোনার জন্য একটি
গুরুত্বপূর্ণ শনাক্তকরণ চিহ্ন। এই সংখ্যাগুলি সোনার বিশুদ্ধতার পরিমাপ। "22K"
মানে 22 ক্যারেট, যার অর্থ এতে 91.6% খাঁটি সোনা রয়েছে। তাই কখনও কখনও "22K"
এর পরিবর্তে "916" ব্যবহার করা হয়, যার অর্থ একই জিনিস। যদি সোনায় এই চিহ্ন
না থাকে, তাহলে এটি খাঁটি নাও হতে পারে। হলমার্ক ছাড়া সোনা কেনা ঝুঁকিপূর্ণ।
অতএব, সোনা কেনার সময় আপনার অবশ্যই এই চিহ্নের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
২। সোনা চুম্বকে ধরে না। যদি চুম্বকে টানে, বুঝে নিও এটা ভেজাল।
সোনা চুম্বক নয়, কিন্তু এর ভর খুবই হালকা। সোনা কখনো চুম্বকের প্রতি
প্রতিক্রিয়া দেখায় না, কারণ খাঁটি সোনায় চৌম্বকীয় উপাদান থাকে না। তাই যদি
কোনও ধাতু চুম্বকের প্রতি আকৃষ্ট হয়, তাহলে ধারণা করা হয় যে এটি একটি ভেজাল
ধাতুর সাথে মিশে গেছে। অনেক সময়, অন্যান্য ধাতুর রঙ সোনার মতো দেখায়। একমাত্র
ভেজালযুক্ত উদাহরণ হল চুম্বকযুক্ত সোনা। এই কারণেই আপনি একটি সাধারণ প্রাথমিক
চুম্বক দিয়ে সোনার সত্যতা উন্নত করতে পারেন। এই পরীক্ষাটি সহজেই দেখতে খুবই
কার্যকর।
৩। একটা গ্লাস পানিতে সোনা ফেলে দেখো—আসল সোনা নিচে ডুবে যাবে, ভেসে থাকবে না।
এক গ্লাস পানিতে সোনা দেখান - সোনা পানিতে ডুবে যাবে, ভেসে থাকবে না। এর
কারণ হল খাঁটি সোনার ঘনত্ব খুব বেশি, যার ফলে পানি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে
পড়ে। সোনা প্রায়শই পানিতে ভাসমান অবস্থায় অথবা চিহ্ন, ঘণ্টা বা নীলকান্তমণি সহ
দলবদ্ধভাবে পাওয়া যায়। এই পরীক্ষাটি খুব সহজ পর্দায় সোনা শনাক্ত করার একটি
কার্যকর উপায়। তবে, এটি লক্ষ করা উচিত যে সোনায় যদি প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা ফাঁক
থাকে, তবে এটি দেখতে সময় লাগতে পারে, যেমনটি মনে হতে পারে। তবুও, সোনা পানিতে
ডুবে যায় তা একটি দুর্দান্ত ইঙ্গিত। এইভাবে, আপনি বাড়িতে সোনার জন্য একটি
প্রাথমিক পরীক্ষা করতে পারেন।
৪। আসল সোনা ঘষলেও রঙ বদলায় না।
আসল সোনা ঘষলেও রঙ বদলায় না, কারণ এটি সম্পূর্ণ খাঁটি ধাতু। অনেক সময় নকল সোনার
গায়ে কেবল সোনালি রঙের পালিশ করা থাকে, যা ঘষা লাগলে উঠে যায় এবং নিচ থেকে ভিন্ন
রঙ বের হয়। কিন্তু খাঁটি সোনা সারাক্ষণ একই রঙের থাকে, যতই ঘষা লাগুক না কেন।
আপনি যদি একটা ধাতব পাথরের উপর সোনা ঘষে দেখেন, এবং সেখানে কালচে দাগ পড়ে বা রঙ
উঠে যায়, তাহলে বুঝে নিতে হবে সেটি ভেজাল। আসল সোনার এই বৈশিষ্ট্য অনেক পুরনো এবং
নির্ভরযোগ্য একটি চেনার উপায়। তাই সোনা কেনার আগে এভাবে ঘষে পরীক্ষা করাও হতে
পারে একটি ভালো সিদ্ধান্ত।
৫। আসল সোনায় চামড়ায় সবুজ দাগ পড়ে না।
আসল সোনায় চামড়ায় সবুজ দাগ পড়ে না, কারণ এতে কোনো প্রতিক্রিয়াশীল ধাতু মিশ্রিত
থাকে না। কিন্তু ভেজাল সোনা বা সোনার মতো দেখতে অন্য ধাতু পরে নিলে অনেক সময় ঘামে
বা পানিতে ভিজে চামড়ায় সবুজ বা কালচে দাগ পড়ে। এই দাগ হচ্ছে তামা বা অন্য ধাতুর
সাথে ত্বকের রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার ফল। খাঁটি সোনা ত্বকের সঙ্গে মিশে যায় এবং
কোনো ধরনের চিহ্ন রেখে যায় না। তাই সোনা পরে যদি হাতে বা গলায় সবুজ দাগ পড়ে,
তাহলে সেটা খাঁটি নয়—এটা সহজেই বোঝা যায়। এই পরীক্ষাটি বিশেষ করে গহনা ব্যবহারের
পর সোনার মান যাচাইয়ের জন্য খুব কার্যকর
৬। সদা পরিচিত বা নামী দোকান থেকে হলমার্কসহ সোনা কেনা।
সোনা কেনার সময় সদা পরিচিত বা নামী দোকান থেকে হলমার্কসহ সোনা কেনাই সবচেয়ে
নিরাপদ উপায়। এসব দোকানে সাধারণত সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত মাপজোক অনুযায়ী সোনা
বিক্রি করা হয়। তারা খাঁটি সোনা সরবরাহ করে এবং পণ্যের সাথে সঠিক তথ্য ও রশিদ
দেয়, যা ভবিষ্যতে যাচাই বা বিক্রির সময় কাজে আসে। অজানা বা অস্থায়ী দোকান থেকে
সস্তায় সোনা কিনতে গিয়ে অনেকেই প্রতারিত হন এবং ভেজাল সোনা পান। তাই বিশ্বস্ত ও
পুরোনো দোকান থেকে কেনা মানেই নিশ্চিন্ত থাকা। হলমার্ক থাকা মানে হচ্ছে সোনার মান
সরকারিভাবে পরীক্ষিত ও স্বীকৃত। তাই সোনা কেনার আগে অবশ্যই দোকানের বিশ্বস্ততা
যাচাই করা জরুরি।

আমার বাংলা Content ✅ এর নীতিমালা https://www.theboldcomma.com/p/blog-page_9.html মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url